কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ গ্রামের বিলে খুঁজে পাওয়া আলোচিত হলুদ পদ্ম ফুলের নামকরণ করেছেন গবেষকরা।
গবেষকরা হলুদ এই পদ্মফুলটির নাম দিয়েছেন ‘গোমতী’। গোমতী নদীর প্লাবন ভূমিতে এই পদ্ম ফুলটি জন্মানোর কারণে এই নাম দেয়া হয়েছে। এশীয় পদ্মের বৈজ্ঞানিক নাম ‘Nelumbo nucifera’ এই হলুদ পদ্মের বৈজ্ঞানিক নামের সাথে ‘gomoti, Bangladesh’ শব্দ দুটি যুক্ত হবে।
হলুদ পদ্ম প্রজাতির নতুন এই প্রকরণটিকে গবেষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল হাসান নেতৃত্বে একই বিভাগের অধ্যাপক আল মুজাদ্দেদ আলফাসানী ও অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব প্ল্যান্ট ট্যাক্সোনমরি সাময়িকীতে এই বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক অধ্যাপক আল মুজাদ্দেদ আলফাসানী জানান, বুড়িচংয়ের এই পদ্মফুলটি হলুদ পদ্মের একটি স্বতন্ত্র প্রকরণ। প্রাকৃতিক ভাবেই এই কাল্টিভার বা প্রকরণটি তৈরি হয়েছে। এটি এশীয় পদ্মের মত হলেও গঠনগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া আমেরিকান হলুদ পদ্মের সাথেও এর অমিল রয়েছে। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণেই এটিকে এশীয় পদ্মের প্রকরণ বলা হয়েছে।
আমেরিকান-এশীয় পদ্মের সাথে অমিল থাকায় কুমিল্লার বুড়িচংয়ের এই হলুদ পদ্ম গবেষকদের নজরে আসে। গোমতী নদীর অববাহিকায় জন্ম নেয়া এই ফুলের আদ্যোপান্ত নিয়ে শুরু হয় গবেষণা। অবশেষে প্ল্যান্ট ট্যাক্সন-ডিসেম্বর ২০২০ সাময়িকীতে এই ফুলের পরিচয় নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হল।
নদী বন্দর / জিকে