তাদের কাজকর্ম ছাড়িয়ে গেছে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সূত্র। অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলেছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, দেখেও বিশ্বাস করা যাচ্ছে না যে মানুষ এখন আকাশে উড়তে পারবে। ব্রিটেনের এই সংস্থার নাম গ্র্যাভিটি ইন্ডাস্ট্রিজ।
মানুষের হাতে থাকা এই প্রযুক্তির নাম জেট স্যুট। স্যুট বলা হলেও আদতে তা সারা শরীর ঢেকে রাখছে না। বরং, পিঠে ব্যাগ বা বলা ভালো প্যারাশুটের মতো একটা অংশ আছে। আর দুই হাতে আছে বিশাল আকারের গ্লাভসের মতো বাকি দুই যন্ত্রাংশ। বাকিটা নিছক বিজ্ঞানের কৃতিত্ব, যা ব্যবহার করে সম্প্রতি ইউনাইটেড কিংডমের রয়্যাল নেভির সদস্যেরা আকাশে উড়লেন, আকাশ থেকে সরাসরি নেমে এলেন মাঝ-সমুদ্রে ভাসতে থাকা সেনাবাহিনীর জাহাজের বুকে।
বিগত বেশ অনেক দিন ধরে গ্র্যাভিটি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রশিক্ষণ দিয়েছে রয়্যাল নেভির সদস্যের। তাদের উদ্ভাবিত এই জেট স্যুট ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে
জানা গেছে যে সম্প্রতি গ্র্যাভিটি ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান টেস্ট পাইলট রিচার্ড ব্রাউনিং এই উড়ানে অংশ নিয়েছিলেন ৪২ জন কমান্ডোর সঙ্গে। সেই উড়ানেরই ভিডিও সম্প্রতি নিজেদের তাদের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করেছে সংস্থা যা দেখলে গায়ে কাঁটা দেয়।
এই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে যে তিনটি স্পিড বোট দ্রুত গতিতে সমুদ্রের বুকে এগিয়ে আসছে একটি যুদ্ধজাহাজের দিকে। সারির একেবারে প্রথমে থাকা স্পিডবোটে একজনকে উঠে দাঁড়াতে দেখা যায়। তার পরেই ওই ব্যক্তি উঠে যান আকাশের দিকে।
এই জেট স্যুটের ব্যবহার যে প্রয়োজনে আকাশপথে চলাচল করা এবং মাঝসমুদ্রে খবর পাঠানোর কাজে খুবই কাজে আসবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! সমস্যা শুধু একটাই, এর বিশাল দাম! একটি জেট স্যুটের খরচ ৪৩০,০০০ ডলার।
সূত্র- রয়্যালনেভি
নদী বন্দর / পিকে