জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) অনুকরণীয় ‘রোল মডেল’ হতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদা ও সম্মান বাড়াতে হবে। ‘চেঞ্জ মেকার’ হিসেবে দেশের জন্য জনগণের জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলনকক্ষ শাপলায় ১৩টি জেলায় নবনিযুক্ত পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় পুলিশপ্রধান বলেন, ‘ব্রুটালিটি’ বা নির্যাতনকে চিরতরে কবর দিতে হবে। জনগণের সঙ্গে মিশতে হবে, তাদের সমস্যা শুনতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে। মানুষকে ভালোবাসলে তাদেরও ভালোবাসা পাওয়া যায়, করোনা আমাদের তা দেখিয়ে দিয়েছে।
আইজিপি বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত পুলিশ দেখতে চাই। পুলিশে দুর্নীতিবাজ ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্থান নেই।
আইজিপি আরও বলেন, সারাদেশে ইতোমধ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। কার্যকরভাবে বিট পুলিশিং বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অপরাধী, অপরাধপ্রবণতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পুলিশের কাছে থাকে।
তিনি বলেন, ফোর্সের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ডিসিপ্লিনের প্রতিও নজর রাখতে হবে। ওয়েলফেয়ার এবং ডিসিপ্লিনকে মেলানো যাবে না।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার পদায়নকৃত ১৩টি জেলার মধ্যে কুড়িগ্রাম, রাঙামাটি, মাগুরা, গাজীপুর, শেরপুর, ঠাকুরগাঁও, পাবনা, বরগুনা, রাজবাড়ী, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল রয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে