ঝড়ের কারণে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের তার ছিঁড়ে পদ্মায় ডুবে যাওয়া সাদা রঙের (নোহা) মাইক্রোবাসের চালক ও মালিকের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার (১২ মে) সকালে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চালকের পরিচয় পাওয়া গেলেও তিনি এখন পর্যন্ত নিখোঁজ। মরদেহ বা তার কোনো সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মাইক্রোবাস চালকের নাম মারুফ হোসেন (৪০)। তার বাড়ি সিলেট হলেও তিনি ঢাকার রামপুরায় থাকেন। মালিকের নাম মাকসুদুর রহমান রিতু। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. মুন্নাফ আলী শেখ জানান, মাইক্রোবাসের মালিকের শ্যালক সোমবার (১০ মে) বিদেশ থেকে দেশে আসেন। তাকে চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দিতে রাতে মারুফকে মাইক্রোবাসসহ পাঠান। সেখানে পৌঁছে দিয়ে মঙ্গলবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকায় ফেরার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, গাড়িতে অন্য কারো থাকার কথা না। ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সহযোগিতায় দুপুর ২টার দিকে মাইক্রোবাসটি নদীতে থেকে তোলা হলেও কোনো লাশ পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের ওপর সাদা রঙের ঢাকা মেট্রো চ-১৪-২৬০৮ (নোহা) মাইক্রোবাসটি ফেরির জন্য দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ ঝড় শুরু হলে পন্টুনের তার ছিঁড়ে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও পাটুরিয়ার ডুবুরি দল।
নদী বন্দর / পিকে