পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মঙ্গলবারের (১১ মে) ঝড়বৃষ্টির কারণে হওয়া বজ্রপাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া কলকাতায় মঙ্গলবারের বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে কলকাতা, শহরতলিসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঘণ্টাদুয়েক ধরে ঝড়বৃষ্টি হয়। এর জেরে শহরের বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে যায়। এসপ্ল্যানেড এলাকা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিটসহ বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যায়। বেশ কয়েক জায়গায় কিছু গাছপালাও ভেঙে পড়ে।
এ সময় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয় হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বজ্রপাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুঠিমারীতে বজ্রপাতে নাজির হোসেন (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া পূর্ব বর্ধমান জেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন দুজন। তাদের নাম সঞ্জয় প্রামাণিক ও শরিফ মুন্সি। হাওড়াতেও বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন দুজন। তাদের মধ্যে একজনের নাম অশোক বিশ্বাস। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, ঝড়বৃষ্টির ফলে কলকাতার রাজ্য ভবনের উত্তর দিকের গেটের সামনে পানি জমে যায়। এ সময় হাইকোর্টের দিক থেকে ধর্মতলার দিকে আসছিলেন এক ব্যক্তি। আচমকাই তিনি পানিতে পড়ে যান। যেখানে তিনি পড়ে যান, তার সামনেই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিল। সঙ্গে সঙ্গে হেয়ার স্ট্রিট থানায় খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ওই ফুটপাতের গায়েই একটি বিদ্যুতের খুঁটি ছিল। তার গোড়ায় খোলা অবস্থায় ছিল বিদ্যুতের তার। কোনো কারণে খোলা তারের সংস্পর্শে আসেন ওই পথচারী। আর তাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, সেখানে কোনো তার খোলা ছিল না।
নদী বন্দর / জিকে