রমজানে খুলনায় বিক্রি হওয়া ফলের তালিকায় প্রথমেই ছিল তরমুজ। রসালো ফল হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে বাড়তি আগ্রহ ছিল তরমুজের উপর। দামও ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে সেই তরমুজের দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান ও দাবদাহের কারণে কিছুদিন আগেও তরমুজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। আর এখন তা ২৫ টাকায়ও নিতে চাচ্ছেন না ক্রেতারা। বাজার ক্রেতা শূন্য থাকায় আড়ত ও খুচরা দোকানিরা অলস সময় পার করছেন।
খুলনার কাঁচা ও পাকা ফলের আড়তের মার্কেট হিসেবে পরিচিত পুরাতন রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের আড়তগুলোতে ভিড় নেই ক্রেতাদের। আড়তদার ও কর্মচারীদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের তরমুজ বিক্রেতা মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, এক সপ্তাহ ধরে ফলটির দাম কমেছে। তিনি প্রতি পিস ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করেন। তার দোকানে তরমুজের আমদানি বেশি। কিন্তু ক্রেতাদের আগ্রহ কম থাকায় গত দুইদিন তরমুজের বেচাকেনা খুব কম।
ডাকবাংলা মোড়ের ফল বিক্রেতা আসাদুল, তসলিম উদ্দিন, রইসুলরা জানান, রোজার সময় তরমুজের ব্যবসা ভাল ছিল। গত দুইদিন আগ থেকে বেচাকেনা পড়ে গেছে। তবে বাজারে যে ১২ মাসি কালো তরমুজ রয়েছে সেটির দাম এখনো চড়া । এটি প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা ও পাকা ফলের আড়ত দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হায়দার পটোয়ারী জানান, বাজারে পাকা আম আসতে শুরু করেছে। নতুন ফলের জন্য ক্রেতারা এখন তরমুজের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছেন।
দুপুরে ডাকবাংলায় তরমুজ ক্রেতা আবু শাহাদাৎ রনি জানান, তরমুজের দাম এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। দুই বছর আগেও তিনি ১৫ টাকা দরে তরমুজ ক্রয় করেছেন। তবে এবার তরমুজের দাম রোজার মাসে যেভাবে বেড়েছিল তা তিনি গত বছরও দেখেনি।
নদী বন্দর / জিকে