কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় দাফনের ২৬ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূ শিলার (৩২) লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের আসাদ মুন্সী ওরফে উজ্জ্বলের স্ত্রী।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরে জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বনি আমীনের উপস্থিতিতে কুমারখালী থানা পুলিশ পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
অপরদিকে শিলার লাশ উত্তোলনের খবর পেয়ে উৎসুক জনতা কবরস্থানে ভিড় জমান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানা উপপরিদর্শক (এস আই) পীযুষ কান্তি কর্মকার বলেন, লাশ দাফনের ৬ দিন পর শিলার ভাই আব্বাস মিয়া থানায় তার বোনকে হত্যার অভিযোগ আনেন। পরে কোর্টের নির্দেশে থানায় গত ৪ মে মামলা রুজু হয়। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী আব্বাস মিয়া বলেন, ১৪ বছর আগে উজ্জ্বলের সঙ্গে বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য ওরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। যৌতুকের টাকা না পেয়েই ওরা বোনকে ১৯ এপ্রিল দুপুরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। ২০ এপ্রিল সকাল ৯টায় বাঁশগ্রাম বাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মামলার বাদী আরও বলেন, নিরাপত্তার অভাবে কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। পরে বাড়ি ফিরে আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করে ২৫ এপ্রিল রাতে কুমারখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । গত ৪ মে থানায় মামলা রুজু হয়। মামলা নং ৬।