অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাওকতের তাণ্ডবে ভারতের মহারাষ্ট্রে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৭ জন। তাওকতের কবল থেকে বাঁচাতে মুম্বাইয়ের অন্তত সাড়ে ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মে) ভোরে এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয় ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার বেড়ে গুজরাট উপকূল অতিক্রম করেছে। এতে সেখানকার বেশকিছু স্থাপনা, বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, তাওকতের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন ভারতীয় নৌবাহিনী। কোচি বন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ঝড়ের দাপটে আটকে পড়া মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর জাহাজ। ওই নৌকায় ১২ জন মৎস্যজীবী ছিলেন।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে মুম্বাইয়ে আঘাত হানা সাইক্লোনগুলোর মধ্যে তাওকতের গতি সবচেয়ে বেশি। অন্তত ১১৪ কিলোমিটার বেগে এটি মুম্বাইয়ে আঘাত হেনেছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মুম্বাইয়ের বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শহরটির বিস্তীর্ণ এলাকা।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত থেকেই গুজরাট উপকূল সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি জমে যায় তাওকতের প্রভাবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আপাতত দুই দিন করোনা টিকাদান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে গুজরাট প্রশাসন।
নদী বন্দর / জিকে