ঈদের পর বেড়েছে নাটোরের লিচুর চাহিদা। ভালো মানের প্রতিপিস লিচুর দর উঠেছে ৩ টাকা পর্যন্ত। অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কিছুটা কম হলেও এবার দাম ভালো পাওয়ায় বাগান মালিকরা লাভবান হবেন, দাবি কৃষি বিভাগের। আর সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাসহ লকডাউনের কারণে পরিবহন সমস্যা সমাধানে সক্রিয় জেলা পুলিশ।
রোজার পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গাছ থেকে লিচু নামাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগানীরা। নাটোরের ছোট-বড় প্রায় ৪ হাজার বাগান থেকে চলছে লিচু নামানোর কাজ। বাজার ছাড়াও বাগান থেকে লিচু কিনছেন ব্যবসায়ীরা।
বাগানে প্রতিপিস লিচু ২ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হলেও বাজারে তার দাম উঠেছে ৩ টাকা পর্যন্ত। বাগান মালিকদের আশা, অতিরিক্ত চাহিদার কারণে লিচুর দাম আরও বাড়বে।
বাগান মালিকরা জানান, ঈদের আগে দাম কম ছিল। এখন চাহিদা বেড়েছে। দামও বাড়ছে।
মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিপিস লিচুতে ১ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ী ও আড়তদারা।
আড়তদাররা জানান, লিচুর কোয়ালিটি হিসেবে দাম কম বেশি হচ্ছে। এখান থেকে বরিশাল, যশোর, রংপুরসহ অনেক দেশে নেওয়া হচ্ছে লিচু।
সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাসহ লকডাউনের মধ্যে সারাদেশে অবাধে লিচু সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। তিনি বলেন, যেহেতু লকডাউন চলছে। সেজন্য লিচুর সুষ্ঠু বাজারজাতকরণে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, জেলায় এবার ৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হবে। যার বাজারমূল্য দাঁড়াবে শত কোটি টাকা। অনাবৃষ্টির কারণে ফলন কিছুটা কম হলেও এবার দাম ভালো পাওয়ায় বাগান মালিকরা লাভবান হবেন। এখানকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে লিচু সরবরাহ করা হবে।
চলতি বছর নাটোরের ৯৮৩ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। আর ৮ হাজার ৮১৫ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নদী বন্দর / পিকে