লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কোথায় আঘাত হানবে সে ব্যাপারে এখন নিশ্চিত নয় আবহাওয়া অফিস। তবে এ মাসের প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, মে মাসের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা প্রবল। তবে সেটি কোথায় তৈরি হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
এদিকে রাজধানী ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ ৯টি অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের যে তাপপ্রবাহ বইছে তা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (১৭ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যশোরে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এ ধরনের উষ্ণ আবহাওয়া সাগরে লঘুচাপ তৈরির ক্ষেত্রে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে গবেষণায় যুক্ত বাংলাদেশি গবেষক মোস্তফা কামাল এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্বের ঘূর্ণিঝড়-বিষয়ক সবকটি ভূ-উপগ্রহের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি মাসের শেষের দিকে আন্দামানে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আমাদের আগামী এক সপ্তাহ বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
নদী বন্দর / পিকে