করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও দুজন বাড়িতে মারা যান। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৩১২ জনে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪০৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৬৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৩৪৯টি। এ সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৭০ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ দুই হাজার ১৮৩ জন।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১৬৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৪ জন।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক শূন্য ৫৬ শতাংশ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব এক জন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন রয়েছেন।
বিভাগীয় হিসেবে গত একদিনে মৃতদের মধ্যে ঢাকায় ১৫ জন, চট্টগ্রামে আটজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনা একজন, বরিশালে তিনজন, সিলেটে তিনজন এবং রংপুর বিভাগের একজন রয়েছেন।
চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৭ হাজার ৩১২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৫৭৫ জন (৭৬ দশমিক ২৪ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৭৩৭ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৭৬ শতাংশ)।
নদী বন্দর / জিকে