লক্ষ্মীপুরে প্রতিহিংসার জেরে মসজিদের দানবাক্স ভেঙে ফেলা হয়েছে। সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের হাজী রমিজ উদ্দিন জামে মসজিদের দানবাক্সটি ভেক্যু দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে এ ঘটনায় মসজিদের সভাপতি আবদুর রহমান বাদী হয়ে চারজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এরআগে সকালে একই এলাকার দক্ষিণ ভবানীগঞ্জ দারুল আকসা জামে মসজিদের সভাপতি শাহ আলম মাঝিসহ অভিযুক্তরা দানবাক্সটি ভেঙে ফেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন শাহ আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর হোসেন ও তাজুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রমিজ উদ্দিন জামে মসজিদের বয়স প্রায় ১০০ বছর। মসজিদের ১০০ গজ পূর্বে প্রায় ১০ বছর আগে ভবানীগঞ্জ-চরভূতা সড়কের পাশে দানবাক্স স্থাপন করা হয়। দানবাক্সটির পাশেই গত তিন বছর আগে দক্ষিণ ভবানীগঞ্জ দারুল আকসা জামে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর থেকে দানবাক্সটি সরিয়ে ফেলার জন্য চেষ্টা করে আসছে নতুন মসজিদের কমিটির লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে শাহ আলম মাঝি ভেক্যু দিয়ে দানবাক্সটি ভেঙে ফেলেন।
হাজী রমিজ উদ্দিন জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম বলেন, ‘আমাদের মসজিদের দানবাক্সটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য (মেম্বার) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রতিহিংসা থেকেই দানবাক্সটি ভাঙা হয়েছে। একই স্থানে দানবাক্সটি ফের স্থাপন করে দিতে হবে।’
অভিযুক্ত শাহ আলম মাঝি বলেন, ‘একই মসজিদের সামনে দুটি দানবাক্স বেমানান। রমিজ উদ্দিন মসজিদের দানবাক্সটি সরিয়ে নিতে বললেও গত একবছরে সরানো হয়নি। দানবাক্সটি ভাঙা হয়নি। ভেক্যু দিয়ে উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলী বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। প্রতিহিংসা থেকে ঘটনাটি ঘটতে পারে। ঘটনাস্থল গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নদী বন্দর / জিকে