পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪৮ দশমিক সাত পাঁচ কিলোমিটার রেল অবকাঠামো নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই অংশের অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনেই এই অংশে রেল চালু করতে কাজে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আস্তে আস্তে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন দরজায় কড়া নাড়ছে। অপেক্ষায় দিন গুনছেন ভাগ্য পরিবর্তনের। ক্রেনে করে স্লিপার উঠানো হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ সেতুতে। বসানো হচ্ছে রেল স্লিপার। ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর সঙ্গে ৫ দশমিক দুই পাঁচ কিলোমিটার রেল সংযোগ সেতুর কাজ শেষপর্যায়ে। দুই প্রান্তের রেল সংযোগ সেতুর পরিবর্তন হওয়া অংশটুকুও নতুন নকশা অনুযায়ী বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।
তৈরি হওয়া রেললাইনের অবকাঠামোতে ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। করোনার লকডাউনেও পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা।
এক হাজার ৩১২টি রেলওয়ে স্ট্রেনজারের মধ্যে বসে গেছে এক হাজার ২০০টি। আর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের ২ হাজার ৬৮৪টি বসে গেছে। বাকি মাত্র ৯ শতাংশ কাজ এবং গ্যাসলাইন স্থাপনের পরই মূল সেতুতে রেললাইন তৈরির জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে।
২০২২ সালের জুনের মধ্যেই পদ্মা সেতুতে যানবাহন ও রেলপথ চলাচলের আশার কথা জানান পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী।
সৈয়দ রজব আলী বলেন, এ কাজ শেষ হওয়ার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আগামী বছর রেলওয়ে ট্র্যাক বসানোর দিয়ে দেয়া হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করেই আমরা রেল ট্র্যাক বসানো হবে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার। তবে ঢাকা-মাওয়া অংশের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের মধ্যে।
নদী বন্দর / পিকে