ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার সম্পর্কে সবারই কমবেশি নিশ্চয়ই ধারণা আছে! বুধবার মাইক্রোসফটের এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ইউন্ডোজের বেশ কিছু ভার্সনে বন্ধ করা হবে এই ব্রাউজারের সাপোর্ট।
বিশ্বব্যাপী মাত্র ২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেন। এ কারণেই শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই ব্রাউজার। তবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের বিকল্প হিসেবে এজ ব্রাউজারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে মাইক্রোসফট।
গত ২০১৫ সালে এই ব্রাউজার আনে সংস্থা। মূলত ক্রোমের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে নতুন ব্রাউজারটির। আপাতত এই ব্রাউজারকে জনপ্রিয় করে তুলতে আগ্রহী মাইক্রোসফট।
গুগলের ক্রোম, অ্যাপেলের সাফারির দাপটে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জনপ্রিয় অনেকে কমেছে। অন্যান্য ব্রাউজারের চেয়ে এটি ব্যবহারের দিক দিও বেশ জটিল। এ কারণেই আরও সহজ ব্রাউজে ঝুঁকছেন ব্যবহারকারীরা।
হোম পেজে কাস্টমাইজ করা শর্টকার্টের অভাব, অন্যান্য ব্রাউজারের তুলনায় জটিল ইউআই, অপেক্ষাকৃত ধীর গতির কারণে বেশিরভাগ মানুষই বেছে নিয়েছেন ক্রোম বা ফায়ার ফক্সের মতো ব্রাউজার। ফলে একেবারেই ব্যবহারকারীর পদচারণা নেই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের।
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে মোট ডেক্সটপ ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের মাত্র ২ শতাংশ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেন। সেখানে গুগল ক্রোম ব্যবহার করেন ৬৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ।
অ্যাপেলের সাফারি ব্যবহার করেন ১০ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে মাইক্রোসফটেরই অপেক্ষাকৃত নতুন ব্রাউজার এজ ব্যবহার করেন বিশ্বের ৮ শতাংশ মানুষ।
একসময়কার জনপ্রিয়তম ব্রাউজার এখন ব্যবহার করা হয় শুধু ক্রোম ডাউনলোড করতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে মিমও চোখে পড়ে। ৯০ দশকের প্রজন্ম হয়তো আজ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে না।
তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শেখা, বুকমার্ক করা, প্রথম ইমেল অ্যাকাউন্ট খোলাসহ নেটদুনিয়ায় হাতেখড়ি হয়েছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মাধ্যমেই।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
নদী বন্দর / জিকে