ভারতে শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা আরও শক্তি সঞ্চয় করবে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ইয়াস’র বেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে এর প্রভাবে ওড়িশায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, বুধবার (২৬ মে) দুপুরে ওড়িশার পারাদ্বীপ ও সাগরের মাঝখানে বালাসোরের কাছাকাছি স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ইয়াস। সেই সময় ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে।
একটি বুলেটিনে সংস্থাটি জানিয়েছে, শেষ ছয় ঘণ্টায় (ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে ইয়াস। আপাতত সেটা পারাদ্বীপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৩২০ কিলোমিটার, বালাসোরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৪৩০ কিলোমিটার, দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৪২০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওড়িশার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে ইয়াস’র দাপট অনেকটাই কম। মূলত ওড়িশা লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা নিয়ে চিন্তা বেশি। তবে রাজ্যের একাধিক জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ইতোমধ্যে ওড়িশার ভুবনেশ্বর, বালাসোর, চাঁদিপুরসহ বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া।
মঙ্গলবার রাত ও বুধবার ভোর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটারে ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখন ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার আশঙ্কা আছে। সেখানে দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখন ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে।
বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, নদিয়া বর্ধমানে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার ভোর থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
নদী বন্দর / বিএফ