স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। এটি ছাড়া এখন আমরা এক মুহূর্তও চলতে পারি না। ছোট-বড় সবার হাতে স্মার্টফোন। এটি আমাদের জীবন যতটা সহজ করেছে, আবার ততটা কঠিনও করে দিয়েছে। হাতে সারাদিন ফোন থাকায় প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষতিও হয়। বিভিন্নভাবে সময় নষ্ট হয়।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমরা অনেক জরুরি কাজ সহজেই করতে পারি। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ক্ষতিই বেশি। সময় বাঁচাতে স্মার্টফোনের ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য যে কাজগুলো করা উচিত তা জেনে নেয়া যাক।
বন্ধ রাখুন নোটিফিকেশন
স্মার্টফোনে আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে নোটিফিকেশন। পোস্টে কে কতটা লাইক দিল, কে মন্তব্য করল আর কয়জন শেয়ার করল এ নিয়ে আমাদের উত্তেজনার শেষ থাকে না। এর থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখা যেতে পারে। এতে সময় নষ্ট হবে না। নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন।
আমাদের স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে সময়ের অপচয় হয়। সময় বাঁচানোর জন্য দিনে অন্তত ৪৫ মিনিট স্মার্টফোন ব্যবহার করা উচিত। এ অভ্যাস তৈরিতে সহায়ক হতে পারে নিজেকে ব্যস্ত রাখা। অফিসের কাজ বা পড়াশোনায় নিজেকে ব্যস্ত রাখলে সময় সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
স্প্যাম কল রিসিভ করবেন না
ফোনে প্রায়ই স্প্যাম কল আসে। অনেকে এসব কল রিসিভ করেন। স্মার্টফোনে আসা স্প্যাম কল মোটেও উচিত হবে না। এতে সময়ের ব্যাপক অপচয় হয়।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরিয়ে দিন
প্রায় সবার স্মার্টফোনে একাধিক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকে। এসব অ্যাপের কারণে স্মার্টফোনের প্রতি আমাদের আকর্ষণ থাকে সবচেয়ে বেশি। সময় সাশ্রয় করার জন্য স্মার্টফোনের অ্যাপগুলো সরিয়ে দিন। প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোনকে সময় কম দিন।
ঘুমের সময় স্মার্টফোন নেবেন না
অনেকেই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় স্মার্টফোন সঙ্গে নেন। স্মার্টফোনের রেডিয়েশনের কারণে ঘুম দেরিতে আসা থেকে শুরু করে ঘুম না হওয়ার সমস্যা হতে পারে। তাই ঘুমানোর সময় স্মার্টফোনের কাছ থেকে বিদায় নিন। প্রয়োজনে ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। ভোর হলে যেটি আপনার ঘুম থেকে জাগিয়ে দেবে।
নদী বন্দর / বিএফ