1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
উপকূল অতিক্রম করছে ইয়াস, আঘাত হানছে না বাংলাদেশে - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ মে, ২০২১
  • ১৫৫ বার পঠিত

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই ইয়াসের। ফলে ঘূর্ণি বাতাসে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কম। তবে ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল কিছুটা প্লাবিত হতে পারে।

বুধবার (২৬ মে) সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাওছার পারভীন।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বাংলাদেশে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে উঠে যাচ্ছে। উপকূল অতিক্রম শুরু করছে এটি। আমরা এখন ঘোষণা দেব।’

‘যা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ওদিকেই (ভারত অংশে) হবে। বাংলাদেশ একটু প্লাবিত হবে, আর কিছু না। পূর্ণিমা আছে, তার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারের পানি প্রবাহিত হতে পারে’ উল্লেখ করেন কাওছার পারভীন।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উপকূলে একটু বাতাস আছে। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় উপকূলে উঠছে। দুপুর ১২টা নাগাদ একটু বাতাস বাড়বে, কিন্তু ততো বেশি হবে না। বাতাসে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।’

এদিকে, ইয়াস সম্পর্কিত ১৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উত্তর উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আজ সকাল ৯টায় (২৬ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ইয়াস আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (২৬ মে) দুপুর ১২টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালেশ্বরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলোয় এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বলেও বিশেষ বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com