ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট লবণাক্ত জোয়ারে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় প্রায় সব এলাকাতেই আউশ, শাকসবজি, ফলবাগান, মরিচ, আঁখ চাষ করেছিল চাষিরা। জোয়ারের লোনা পানিতে বুড়িরচর ও চরইশ্বর ইউনিয়নের সামান্য ক্ষতি হলেও বাকি এলাকায় ২৯৫ হেক্টর জমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নুরুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় এ দ্বীপ উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরেও অত্যধিক জোয়ার, বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। কৃষকদের ক্ষেতের ফসল এখনো পানিতে নিমজ্জিত।
তিনি বলেন, পৌরসভা ও প্রত্যেক ইউনিয়নের ক্ষয়ক্ষতির হিসাবমতে গত দুই দিনের অস্বাভাবিক জোয়ারে হাতিয়ায় ২৯৫ হেক্টর ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ১৭৭ হেক্টর আউশ, ২৪ হেক্টর ফলবাগান, ৬৬ হেক্টর শাকসবজি, ১৬ হেক্টর মরিচ ও ১২ হেক্টর আঁখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য জেলা কৃষি অধিদফতরকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন এ কর্মকর্তা।
কৃষি অফিসার আরও বলেন, এবারের জোয়ারের পানি অধিক লবণাক্ত হওয়ায় ফসলের ক্ষতির পরিমাণ বেশি। তবে জোয়ার আসা বন্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতির আরও সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করা যাবে।
এদিকে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে প্রণোদনাসহ সহযোগিতা করার জন্য সরকারি উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. শহীদুল হক।
তিনি জানান, আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। সরকারিভাবে যেটা বরাদ্দ আসবে তা কৃষকদের মাঝে বণ্টন করা হবে।
নদী বন্দর / পিকে