ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র কারণে জলোচ্ছ্বাসে দেশে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে না।’
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) শাক-সবজি ও ফল রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় নিয়ে পর্যালোচনা সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আবহাওয়া অধিদফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টা থেকে তিনটার মধ্যে ভারতের ডামরার উত্তর এবং বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে। এটি পরবর্তী সময়ে স্থলভাগের উপর দিয়ে আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড় এবং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ভারতের উড়িষ্যা ও কাছাকাছি ঝাড়খন্ড এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি স্থলভাগের উপর দিয়ে আরও উত্তরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একে ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা মাঠে নির্দেশনা দিয়েছি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা এটার মূল্যায়ন করছে। আমরা কাল-পরশুর মধ্যে মোট ক্ষতির হিসাবটা পেয়ে যাব, তখন আপনাদের দিতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত দুটি দিক….এই সময়ে পটুয়াখালী এলাকায় মুগডাল ছিল। আপনারা শুনে খুশি হবেন ১০ থেকে ১৫ বছর আগে পটুয়াখালীতে কোনো মুগডাল হতো না। সেখানে এখন পটুয়াখালীতে প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টন মুগডাল হয়। এই মুগডালের অনেকটাই ইনশাআল্লাহ হারভেস্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
‘লবণ সহনীয় যে ধান আমরা দিয়েছিলাম, ধানগুলো কাটা হয়েছে। কিছু শাক-সবজি যেটা ক্ষেত্রে ছিল সেটার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ব্যাপক বা বড় কোনো ফসলের ক্ষতি হয়নি। সব ফসল হারভেস্ট হয়েছে। সবাই এখন আমন লাগানোর অপেক্ষা করছে, আউশ লাগাচ্ছে। কাজেই খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে না।’
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘তবে ঘরবাড়িতে যেভাবে পানি উঠেছে, এটা তাদের অনেক কষ্টের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। মানুষকে ঘরে ফিরিয়ে নেয়া এবং খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করার সরকারের বড় দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইনশাআল্লাহ পর্যাপ্ত খাবার দেয়া যাবে। এই মূহূর্তে খাবারের কোন অভাব নেই।’
নদী বন্দর / পিকে