বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। এখনো পদ্মা উত্তাল। ঢেউয়ের তোর এরই মধ্য শিমুলিয়ার ২ নম্বর ফেরি ঘাট দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এরপর আবার পানি বেড়ে সংযোগ সড়কও জলমগ্ন। অন্য তিন ঘাটের সংযোগ সড়কে পানি উঠে নাজুক অবস্থা। ঢেউয়ের তোড়ে হুমকির মুখে থাকা ঘাট রক্ষায় ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা। এমন পরিস্থিতিতে ফেরি ও লঞ্চসহ সব নৌযান বন্ধ।
পারাপারের অপেক্ষায় শত শত যান ও কয়েক হাজার মানুষ। মানুষগুলো বসার জায়গা না পেয়ে নোঙর করা ফেরি কিশোরীতে গাদাগাদি করে ঠাঁই দাড়িয়ে। অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছে না। অনেকে দুই দিন ধরে ঘাটে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। কারো কারো ফিরে যাওয়ার মত টাকা হাতে নেই। ঢেউ আর বাতাসের কারণ ঘাট রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মেরামতও শুরু করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আহাম্মদ আলী বলেন, ‘পদ্মায় অস্বাভাবিক রোলিং, গতকালের চেয়ে কম নয়। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে ফেরি চলবে।’
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে শিমুলিয়া- বাংলাবাজার নৌরুটে বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে ১৮ ফেরি এবং মঙ্গলবার বিকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই রুটে ১৮ টি ফেরি ও ৮০ টি লঞ্চ চলাচল করছিল।
নদী বন্দর / জিকে