আজ ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বছরের সবচেয়ে ছোট দিন। গতরাত (২১ ডিসেম্বর দিনগত রাত) ছিলো বছরের দীর্ঘতম রাত।
এটি অবশ্য উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে ঘটছে। এর ঠিক বিপরীত অবস্থা দক্ষিণ গোলার্ধে। সেখানে একই সময় হবে দীর্ঘতম দিন।
উত্তর গোলার্ধের মধ্যে পূর্ব তিমুর এবং ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ গোলার্ধের অংশ ব্যতীত এশিয়া মহাদেশের অধিকাংশ দেশ রয়েছে। এ ছাড়া আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপেরও বেশ কিছু দেশও রয়েছে।
উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও একটি। আর তাই বাংলাদেশেও আজ বছরের ক্ষুদ্রতম দিন।
২১ ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তি রেখার ওপর অবস্থান করায় এবং উত্তর মেরু সূর্য থেকে কিছুটা দূরে হেলে থাকায় উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম রাত ও পরদিন ক্ষুদ্রতম দিন হয়ে থাকে।
তবে বিপরীত অবস্থা থাকবে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে। সেখানে একই সময় হবে দীর্ঘতম দিন ও হ্রস্বতম রাত।
দীর্ঘতম রাত অথবা ক্ষুদ্রতম দিনকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, ২১ জুন উত্তর গোলার্ধে আমরা পাই দীর্ঘতম দিন আর হ্রস্বতম রজনী। সূর্য এ সময় কর্কটক্রান্তি বৃত্তে অবস্থান করে। ক্রান্তি বৃত্তে সূর্যের এই প্রান্তিক অবস্থান বিন্দুকে বলা হয় উত্তর অয়নায়ন।
এরপর থেকে দিন ছোট হতে থাকে আর রাত বড় হতে থাকে। অবশেষে ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্য আবার অবস্থান নেয় বিষুব বৃত্তের বিন্দুতে, যেখানে ক্রান্তি বৃত্ত ও বিষুব বৃত্ত পরস্পরকে ছেদ করেছে। একে বলা হয় জলবিষুব বিন্দু।
এ দিন পুনরায় পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত সমান হয়ে থাকে। এর পর থেকেই উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ রাত বড় হতে হতে সূর্য পৌঁছে যায় ক্রান্তি বৃত্তের দক্ষিণ অয়নায়ন বিন্দুতে।
নদী বন্দর / এমকে