আর মনপুরাসহ জেলার ৬ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি স্থান বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় শঙ্কায় রয়েছেন নদীর পাড়ের মানুষ। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব বাঁধ সংস্কারের কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিচ্ছিন্ন মনপুরা ও বোরহানউদ্দিনের চারটি স্থান দিয়ে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে যায়। বিপদসীমার প্রায় ১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত জোয়ারের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনপুরা উপজেলায়। সোনারচর, দক্ষিণ সাকুচিয়া, কুলাগাজির তালুক ও স্লুইসগেট এলাকায় প্রায় ৪ কিলোমিটার বাঁধ বিধ্বস্ত।
সদর উপজেলার ১৩টি স্থানে প্রায় ২ কিলোমিটার, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনের পাঁচটি স্থানে ৬ কিলোমিটার, তজুমদ্দিন ও চরফ্যাসনে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার বাঁধের অর্ধেকের বেশি মাটি মেঘনার জলে ভেসে গেছে।
নাজুক এসব বাঁধ দিয়ে বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত সংস্কার করতে না পারলে আসন্ন বর্ষায় মেঘনার ঢলে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা এলাকাবাসীর।
জোয়ারে শুধু বাঁধের ক্ষতি করেনি নিঃস্ব করে গেছে বেড়িতে আশ্রিত অনেক পরিবারকেও। ঢেউয়ের আঘাতে ভিটির মাটি সরে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি নিয়ে বিপাকে আছেন অনেকে।
তবে আসন্ন অমাবস্যার আগেই অতিঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নির্মাণ শেষ হবে বলে আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান।
মেঘনা-তেঁতুলিয়ার জলোচ্ছ্বাস থেকে ভোলার রক্ষাকবজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এর মধ্যে ১১৪ কিলোমিটারের স্থায়ী প্রটেকশন থাকলেও বাকিটার নিরাপত্তা মাটির বাঁধের ওপর।
নদী বন্দর / পিকে