সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়া। এর পর থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং সমমনা দলগুলো দিনটিকে জিয়াউর রহমানের ‘শাহাদাতবার্ষিকী’ হিসেবে পালন করে আসছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ ভোরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতা-কর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ। বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের শ্রদ্ধা নিবেদন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মহানগরীর ৮০টি স্থানে মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অসহায়-দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এতে বিএনপি মহাসচিব ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
এ উপলক্ষে গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। এদিকে দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সব সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনই মেনে নিতে পারেনি বলে তাঁকে হত্যা করা হয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড ফোর্স’ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন জিয়া। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। একই বছর ৭ নভেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
নদী বন্দর / বিএফ