চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়ার উদ্বোধন করা হয় গত ২১ মে। এরপর থেকেই মূলত জেলার অনলাইন ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন অনলাইনে আম বিক্রিতে।
সারাদেশে লকডাউনের কারণে বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে না পারা এবং মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করায় অনলাইনে জমে উঠছে আমের ব্যবসা। অনেকে ফেসবুক পেজ, অনলাইন পোর্টালসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আম কেনাবেচা করছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চাঁদলাই এলাকার অনলাইন আম ব্যবসায়ী শাহজান আলী জানান, তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আম বিক্রির প্রচারণা চালিয়ে অর্ডার নিয়েছেন। চলতি মৌসুমে মোট ছয় দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ করেছেন।
তিনি জানান, বর্তমানে উন্নতমানের কিছু গুটি ও হিমসাগর আম সরবরাহ করা হচ্ছে। ঢাকার বাইরের ক্রেতারা মূলত এই আমের অর্ডার করছেন।
নামো সঙ্করবাটি এলাকার আবদুল্লাহ জানান, তার নিজস্ব কোনো আমবাগান নেই। তিনি অনলাইনের মাধ্যমে বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন। এবারও প্রায় ৪০ মণ আম সরবরাহ করেছেন। এতে মোটা অংকের টাকা আয় হচ্ছে। সারা বছর আম মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করেন এই ব্যবসায়ী।
মৌসুম শুরু হলে আম ব্যবসায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ। গত মৌসুমে তিনি সাড়ে ৫শ মণ আম অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে দুই লাখ টাকা আয় করেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার দেবীনগর গ্রামের অনলাইন আম ব্যবসায়ী আতিক হাসান জানান, তিনি এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ করছেন। লকডাউন চলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অর্ডার ভালো পাচ্ছেন। তার কাছে মূলত বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা আম কেনেন।
কানসাট এলাকার অপর অনলাইন আম ব্যবসায়ী আসিক বলেন, তিনি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। করোনাকালীন বাড়িতে বসেছিলেন। তিনিও আমের ব্যবসা শুরু করেছেন। তিনি জানান, কুরিয়ার চার্জ অনেক বেশি পড়ছে। কুরিয়ারের লোকজন ইচ্ছেমতো চার্জ আদায় করছেন।
জানতে চাইলে এসআর কুরিয়ার সার্ভিসের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন জামিল বলেন, হেড অফিস থেকে আমাদের চার্জ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী আমরা চার্জ আদায় করি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেটিং অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, করোনাকালীন আম বেচাকেনার জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে জনসমাগম এড়িয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। বাগানেই আম ট্রাকে লোড করে বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে হবে।
নদী বন্দর / বিএফ