দেশে বৃষ্টিপাত বাড়ায় উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আর তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। যে কোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করে দেখা দিতে পারে বন্যা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বুধবার নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে।
তিনি আরও জানান, এই সময়ে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, যমুনেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র ও আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে গঙ্গা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন নদ-নদীর পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে বেড়েছে ৩৭টি পয়েন্টের পানি। কমেছে ৫৮ টিতে, অপরিবর্তিত ৩টিতে, তথ্য পাওয়া যায়নি ৩টি পয়েন্টের।
আজ সোমবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায়, ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাব মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
নদী বন্দর / জিকে