1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ঝিনাইদহে মিষ্টি আঙুর চাষে সফল আব্দুর রশিদ - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ জুন, ২০২১
  • ১৩৪ বার পঠিত

ঝিনাইদহে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের যুগিহুদা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বিদেশি জাতের আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন।

তার বাগানে উৎপাদিত আঙুর ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। গত ১৫ দিনে প্রায় তিন মণ আঙুর বিক্রি করেছেন। তার ১০ কাঠা জমি থেকে আরো ১০ থেকে ১২ মণ আঙুর বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

এর আগে বিভিন্ন এলাকায় আঙুর চাষ হলেও তা সুস্বাদু না হওয়ায় দ্বিতীয়বার চাষ করেনি। তবে আব্দুর রশিদ এবারই প্রথম এ চাষে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। জমিতে গাছ রোপণের মাত্র সাত মাসে ফল আসতে শুরু করে। ৯ থেকে ১০ মাসের মাথায় আঙুর পরিপক্ক হয়েছে। কৃষক আব্দুর রশিদের দাবি বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন জাতের বিদেশি আঙুরের চেয়ে তার জমির পাকা আঙুরের স্বাদ ভালো।

১০ কাঠা জমিতে ছমছম ও সুপার সনিকা জাতের ৭৫টি আঙুরের গাছ রোপণ করেছেন। ভারত ও ইটালি থেকে এসব চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার দেখাদেখি এখন অনেকে আঙুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতিদিন তার আঙুর চাষ দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।

আব্দুর রশিদের শখ কৃষিতে ক্ষেত্রে নতুন নতুন সবজি, ফল ও ফসলের চাষ করা। আর এ শখের অংশ হলো মাসে একদিন সময় করে দেশের যেকোন প্রান্তে নতুন কোন চাষের সংবাদ পেলে সেখান থেকে ঘুরে আসা। তিনি আঙুরসহ নানা জাতের ফল চাষে সফলতা দেখিয়ে চলেছেন। সাথে ভাগ্যের চাকা ঘুরয়েছেন নিজের পরিবারের।

jagonews24

আব্দুর রশিদ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। উপজেলা শহরের পাশ ঘেঁষে বেয়ে যাওয়া কপোতাক্ষ নদীর তীরে বেড়ে উঠা যুবক ছাত্র জীবনে অত্যান্ত মেধাবী হলেও লেখাপড়া করা হয়নি। কর্ম জীবনের শুরু থেকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সহযোগীতায় কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ হন।

চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে গোল্ডেন কালারের নতুন জাতের তরমুজ তৃপ্তি চাষ করে সফলতা দেখিয়েছেন। এই দুই বিঘা চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। মাত্র দুই মাসের এ চাষে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ করেছেন। আঙুরের পাশাপাশি তার পাঁচ বিঘা জমিতে রয়েছে মাল্টা ও কমলা লেবু রয়েছে।

কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, গত সাত মাস আগে শখের বসে দশ কাঠা জমিতে ছমছম, সুপার সনিকা, কালো জাতসহ কয়েকটি জাতের ৭৫টি আঙুর চারা রোপণ করেন। তিনি এই চারাগুলো ভারত এবং ইতালি থেকে সংগ্রহ করেন। সাত মাস পরিচর্যার পর তার অধিকাংশ গাছেই ব্যাপক আঙুর ফল ধরে। তিনি জানান, প্রতিটি গাছে ৮ থেকে ১০ কেজি করে আঙুর ধরেছে।

মহেশপুর উপজেলায় তিনি প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আঙুর চাষ করছেন। বিভিন্ন সময় তিনি ইউটিউবে আঙুর, তরমুজ, কমলা চাষের ভিডিও দেখে আগ্রহী হন। আঙুর চাষে সফল হওয়ায় চাষ সম্প্রসারণে আরো কয়েক বিঘা জমিতে আঙুর গাছের চারা রোপণ করছেন। আঙুর গাছে ফল আসার পর পাকতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ মাস। তার দাবি বাংলাদেশের মাটিতে সুস্বাদু আঙুর চাষে সফলতা তিনিই প্রথম সফল হয়েছেন।

মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমিত বাগচী জানান, আমি নিজে আব্দুর রশিদের চাষ করা আঙুর খেয়েছি। সামান্য টক হলেও স্বাদ ভালো। আমাদের দেশে এর আগেও আঙুর চাষ হয়েছে কিন্তু স্বাদ ভালো হয়নি। এবারই তার জমির আঙুর ভালো স্বাদ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মহেশপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী।

এর আগে এই এলাকার কৃষকরা আম, পেয়ারা, বাউকুল, আপেলকুল ও তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তবে গত সাত মাস আগে কৃষক আব্দুর রশিদ তার ১০ কাঠা জমিতে কয়েক প্রজাতির আঙুর গাছের চারা রোপণ করেন। প্রথম বছরেই তার আঙুর বাগানে ব্যাপক ফলন এসেছে। ইতিমধ্যে আঙুরে পাক ধরেছে। সুস্বাদুও হয়েছে। এখন আঙুর চাষে আরো প্রযুক্তির ব্যবহার করে স্বাদ বাড়ানো যায় কিনা চেষ্টা করতে হবে।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com