কোনো ভূমিকম্প হয়নি, এমনকি ছিল না পানির তীব্র স্রোতও। কিন্তু একে একে ধসে পড়েছে তিনটি ব্রিজ। এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। এক থেকে তিন বছর আগে চর আলগী ইউনিয়নের একটি খালের ওপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ব্রিজগুলো নির্মাণ করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ ছাড়াও পাইলিং না করায় ঘটেছে এমন দুর্ঘটনা।
নির্মাণের এক বছর না পেরোতেই গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের বোরাখালির চরে খালের ওপর নির্মিত হয় এ ব্রিজ আর গত ২৬ মে ভেঙে পড়ে তা।
এর পরের দু’দিনে একই খালের ওপর নির্মিত কুড়তলি পাড়া ও টেকের চর এলাকার আরো দুটি ব্রিজও ধসে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। চরাঞ্চলের সবজি ও পণ্যপরিবহন প্রায় বন্ধ রয়েছে। অনিয়ম, নিম্নমানের কাজ এবং পাইলিং ছাড়া ব্রিজগুলো নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তবে গফরগাঁও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল খননের কারণে ব্রিজগুলো ধসে পড়েছে।
আর ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা জানান, খনন নয়, নির্মাণ ত্রুটির কারণেই ধসে গেছে ব্রিজ।
ঘটনাটি অস্বাভাবিক উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ” গ্রামীণ রাস্তায় কমবেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় ৩০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজগুলো নির্মিত হয়।
নদী বন্দর / এমকে