রাজশাহীর বানেশ্বরে বসে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও জনপ্রিয় আমের হাট। প্রতিবছর এ হাটে শত কোটি টাকার আম কেনা-বেচা হয়। গতবছর এ হাটে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার আম কেনা-বেচা হয়েছিল। এবার বেড়ে ৮০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকার আম কেনাবেচা হতে পারে বলে জানিয়েছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।।
বানেশ্বর বাজার কমিটি জানিয়েছে, বানেশ্বর বাজার থেকে গতবছর আমের মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ৩০০টি ট্রাক আম নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যেতো। তবে এবছর উত্তরাঞ্চলে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া বর্তমানে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টি ট্রাক রাজশাহী থেকে আম নিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি আমের হাটটি বানেশ্বরের মূল রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে সরকারি কলেজ মাঠে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ, রাস্তার যানজট নিরসন ও আম চাষিসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে উপজেলা প্রশাসন ও বাজার কমিটির সিদ্ধান্তে হাটটি স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস।
হাট ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, বানেশ্বরে মূল রাস্তার পাশে বাজারটি থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হতো। এছাড়াও সেখানে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের জায়গা দেয়া যেতো না। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানা দুষ্কর ছিল। তাই জেলা প্রশাসন, বাজার কমিটি, স্কুল কমিটি সকলের আলোচনা সাপেক্ষে হাটটি স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কলেজ মাঠে হাট স্থানান্তরিত হওয়ায় মূল রাস্তাসহ বাজারে যানজট কমেছে। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে পেছনের রাস্তা দিয়ে বের হচ্ছেন হাটে আগতরা। আবার ছোট বড় ট্রাক হলে তারা গুটিপাড়া হয়ে বানেশ্বরে না উঠে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যেতে পারছে। এতে একেবারেই যানজট কমেছে। তীব্র রোদ ও বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য হাটে ছাউনি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পানির ও টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
হাট ইজারার অংশীদার সেলিম শেখ বলেন, হাটের ভালোমন্দ দেখার জন্য উপজেলা প্রশাসকের পাশাপাশি আমরাও কাজ করছি। চাষিরা যাতে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারেন সে দিকে লক্ষ্য রেখে হাট পরিচালনা করা হচ্ছে। আবার ঢাকার ব্যাপারীরা যাতে নিরাপদভাবে আম নিয়ে যেতে পারেন সে বিষয়টিও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
নদী বন্দর / বিএফ