1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
এবারের নদীভাঙনে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পূর্বাভাসে যা আছে! - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৭ জুন, ২০২১
  • ১৩৬ বার পঠিত
প্রতিবারের মতো এ বছরও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস দেশের প্রধান তিনটি নদীর অববাহিকায় সম্ভাব্য ২০টি স্থান নির্বাচন করেছে যা নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে।

এই ২০টি স্থানের মধ্যে ১৪টি যমুনা, ৫টি গঙ্গা ও ১টি পদ্মা নদীতে। নদী ভাঙনের ফলে প্রায় ১৩টি জেলা (কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল,মানিকগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও মাদারীপুর) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যাদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী ও মাদারীপুর জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে।

এ বছরের পূর্বাভাসে প্রায় ২৭৯৫ হেক্টর জমি নদীভাঙনের আওতায় রয়েছে। সেই সঙ্গে ৩৪২ হেক্টর বসতবাড়ি এলাকা, ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৬ কিলোমিটার সড়ক, ৩.৭ কিলোমিটার বাঁধ, ১টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৬টি মসজিদ, ৫টি হাটবাজার, ২টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নদীভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

স্থানীয় পর্যায়ে নদীভাঙনের পূর্বাভাস
নদীভাঙনের পূর্বাভাসের পাশাপাশি সিইজিআইএস ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম পূর্বাভাস থেকে প্রাপ্ত ফলাফল যমুনা ও পদ্মা নদীর অতীব নদীভাঙনকবলিত ৪টি সম্ভাব্য স্থানে পাইলট আকারে বাংলা পোস্টারের মাধ্যমে নদীতীরবর্তী সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করে যা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। পরবর্তীতে ব্র্যাক ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে দেশের তিনটি নদীর ভাঙন পূর্বাভাস ব্যবহার করে নদীভাঙন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে প্রচার করে যা মানুষের জানমাল ও সম্পদ রক্ষা এবং নদীতীরবর্তী স্থানে নির্মিত অবকাঠামো রক্ষায় অপরিহার্য ভূমিকা রেখেছে। সবশেষে গত বছর ২০২০ সালে কেয়ার বাংলাদেশ, যমুনা নদীর ২টি নদীভাঙন কবলিত স্থানে স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের মধ্যে সিইজিআইএস কর্তৃক পূর্বাভাসকৃত ফলাফল প্রচার করে।

নদীভাঙন পূর্বাভাসের যথার্থতা নিরীক্ষণ
সিইজিআইএস প্রতিবছর নদীভাঙন পূর্বাভাসের শুরুতে বিগত বছরে পূর্বাভাসকৃত ফলাফলের কার্যকারিতা নতুন বছরের স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে তা মূল্যায়ন করে। সেই সঙ্গে গত বছরে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিসংখ্যানও লিপিবদ্ধ করে যা প্রতি বছরের রিপোর্টে প্রদান করা হয়।

গত ১৭ বছরে প্রাপ্ত মূল্যায়ন থেকে দেখা গেছে যে, সিইজিআইএস কর্তৃক উদ্ভাবিত টুল নদীভাঙন পূর্বাভাসে অত্যন্ত কার্যকর যার সক্ষমতা প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com