পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় তৈরি করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ইয়ার্ড। পাইল ও স্প্যান তৈরির কাজ শেষ হওয়ায় খালি পড়ে থাকা এ ইয়ার্ডগুলোকে এখন দেশে চলমান অন্য মেগা প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা যায় কিনা, সে বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব।
দিন রাত ২৪ ঘণ্টা হয়েছে কাজ। ছোট স্টিলের টুকরোগুলো জোড়া দিয়ে এখানে বানানো হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাইল। ১২০ থেকে ১২৮ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৩ মিটার চওড়া এসব পাইল। এ ইয়ার্ড থেকে বানানো পাইল নিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছে নদীর তলদেশে।
একইভাবে চীন থেকে আনা ছোট টুকরোগুলো দিয়ে মাওয়ার আরেকটি ইয়ার্ডে বানানো হয়েছে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় স্প্যান। একসঙ্গে ৫-৬টি স্প্যান বানিয়ে রাখা যেতো এখানে। এ ইয়ার্ড থেকে স্প্যানগুলো নিয়ে গিয়ে বসানো হয়েছে নদীতে।
সে ইয়ার্ড দুটি এখন শূন্য। সব পিলার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে গত বছর। আর চলতি মাসের ১০ তারিখ সব স্প্যান বসানোর কাজও শেষ।
তবে সেতু মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, পদ্মা সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করা গেলে রাজধানীতে চলমান মেট্রোরেল কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী তৈরি করা যেতে পারে এই ইয়ার্ডগুলোতে।
সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, ঢাকা শহরে আমাদের অনেকগুলো কাজ হচ্ছে। তাই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী আশুলিয়ায় তৈরি করা হবে। পরে সেখান থেকেই ঢাকায় এনে কাজ শুরু করা হবে।
স্প্যান ও পাইলের কাজ শেষ হলেও মাওয়া ইয়ার্ডের আরেকটি অংশে চলছে রোড ও রেল স্ল্যাব নির্মাণ কাজ। এ ইয়ার্ডে প্রায় ৩ হাজার করে স্ল্যাব বানানো হচ্ছে। এর মধ্যে রেল স্ল্যাব নির্মাণের কাজ শতভাগ আর রোড স্ল্যাব নির্মাণ কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে