পারিবারিক কলহের জেরে নিজের মেয়ে ওয়াসিমা বেগম ও জামাতা তোফায়েলের বিরুদ্ধে চুরি ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেন মোমেনা বেগম নামে এক নারী। রাজধানীর বংশাল থানার ওই মামলায় গত শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জেলহাজতে থাকা ওয়াসফিয়া-তোফায়েল দম্পতির দুই সন্তান। বাবা-মা জেলে থাকায় সাড়ে তিন বছরের টুম্পা ও আড়াই বছরের ইয়াছিনের ঠাঁই মেলে প্রতিবেশীর বাড়িতে।
বাবা-মায়ের জামিনের জন্য প্রতিবেশীর হাত ধরে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিচারক মো. মামুনুর রশিদের আদালতে এসেছিল তারা। কিন্তু সেদিন জামিন মেলেনি টুম্পা-ইয়াছিনের বাবা-মায়ের। উল্টো শিশু দুটি আদালতে কান্নাকাটি করায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে শোকজ করেন আদালত।
ফলে বাবা-মাকে ছাড়াই কাঁদতে কাঁদতে আদালত ছাড়ে শিশু টুম্পা-ইয়াছিন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আজ বুধবার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ, শিশির মনির ও কুমার দেবুল দে। শুনানি শেষে আদালত দুই শিশুর মাকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেন এবং একইসঙ্গে তাদের বাবাকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিনের আদেশটি দ্রুত ই-মেইল ও ফ্যাক্সে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, হাইকোর্টের আদেশের পর আমরা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন- উচ্চ আদালতের নির্দেশে শিশুদের মাকে মুক্তি দিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।