সিলেটের সীমান্ত উপজেলা জকিগঞ্জে একটি গ্যাসকূপের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল সোয়া ১০টায় উপজেলার আনন্দপুরে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সফল হয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি।
কূপটিতে মোট চার স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। সবকিছু ঠিক থাকলে এ গ্যাসকূপ বাংলাদেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) ও ফ্লোটিং চাপ ১৩ হাজারের অধিক। প্রাথমিকভাবে একটি স্তরের টেস্ট চলমান।
কূপটিতে মোট চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে গোলাপগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ভালো কিছু আশা করছি। অনেক সময় পকেট থাকতে পারে। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পর বলতে পারব। তার আগে বললে সেটি সঠিক না-ও হতে পারে।’
সম্প্রতি একটি সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান ওই ফিল্ডটি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমরা নতুন একটি ফিল্ডে সফল হতে চলেছি। সেখানে কূপের প্রেসার ৬০ হাজারের অধিক। পরীক্ষা চলছে। এটি আমাদের জন্য দারুণ সুখবর হতে পারে। আশা করছি, শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।’
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুত অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, সম্ভাব্য মজুত রয়েছে আরও ৭ টিএসএফের মতো।
নদী বন্দর / পিকে