1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ভাসানচরে ডায়রিয়ার প্রকোপ, ৩ শিশুর মৃত্যু - Nadibandar.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১
  • ১৯৬ বার পঠিত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১৫ দিনে ভাসানচরে ১৬০০ মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এসময়ে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর।

বুধবার (১৬ জুন) সকালে ভাসানচর ২০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তানভীর আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে ৬০০ ডায়রিয়া রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা ও আরও এক হাজার রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে পুষ্টিহীনতা ও ডায়রিয়ায় তিন শিশুর মৃত্য হয়েছে।

তারা হচ্ছে, ক্যাম্পের ১০ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা মো. সিরাজের মেয়ে জয়নব (১), ৫৬ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা জানে আলমের ছেলে জিসান (২) ও ৫৫ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুর রহিমের মেয়ে উম্মে হাবিবা (৩ মাস)।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৪-১৪ জুন পর্যন্ত সেখানে ৫৮২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর তিনজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বর্তমানে ভাসানচর ২০ শয্যার হাসপাতালে ১১ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর ক্যাম্পে রয়েছে। তাদের জন্য রয়েছে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল। পাশাপাশি ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে সেখানে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য দুজন মেডিকেল অফিসার, দুজন উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার, দুজন নার্স, একজন মিডওয়াইফ, দুজন ওয়ার্ডবয় ও দুজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছেন।

এদিকে রোগী বহনের জন্য হাতিয়ার জনতা বাজারে সার্বক্ষণিক দুটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা আছে। গুরুতর কোনো রোগীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে এগুলো ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি পাঁচটি এনজিওর কর্মীরা কাজ করছেন ভাসানচরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পের ২০ শয্যা হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৩৫-৪০ জন রোগী ভর্তি থাকে। শয্যার অভাবে হাসপাতালের মেঝে, বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৬০-৭০ জন রোগী প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ভাসানচর হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা।

মেডিকেল অফিসার তানভীর আনোয়ার জানান, হাসপাতালে অন্য রোগী ভর্তি না করে শুধু ডায়রিয়া রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শুরুতে স্যালাইন ও অন্যান্য ওষুধের কিছুটা সঙ্কট থাকলেও এখন নেই। পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে ও জেলা থেকে আরও পাঠানো হচ্ছে।

নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ‘তীব্র গরমের পর বৃষ্টি এবং ব্যক্তিগত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন কাজ করছেন।’

নদী বন্দর / জিকে

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com