এবার ঝুম বৃষ্টি নিয়েই প্রকৃতিতে পদার্পণ করেছে আষাঢ়। মৌসুমি বায়ুর (দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প নিয়ে আসা বাতাস) সক্রিয়তায় আরও তিন দিন উপকূলীয় এলাকায় ভারি বৃষ্টিসহ সারাদেশেই বৃষ্টি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়ের ৩ তারিখ। দুদিন ধরে সারাদেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশের মুখ ভারী। মেঘে মেঘে ছেয়ে আছে আকাশ।
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘এখন বর্ষাকাল, এই সময়ে মৌসুমি বায়ু অনেক সময় মাঝারি ধরনের সক্রিয় থাকে, কখনো কখনো কম সক্রিয় থাকে। এখন মৌসুমি বায়ু মাঝারি ধরনের সক্রিয় অবস্থায় আছে। এর প্রভাবেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আরও তিন দিন পর কিছুটা কমে যাবে।
তিনি বলেন, ‘বুধবার অতিভারি বৃষ্টিপাতের যে সতর্কবার্তা জারি করা ছিল সেটা হয়তো আজ ওভাবে থাকবে না। তবে ভারি বৃষ্টি থাকবে।’
বুধবার সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বৃহস্পতিবারও বহাল থাকবে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্য আছে। এর সঙ্গে বজ্রমেঘও তৈরি অব্যাহত আছে। সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থায়ী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে বলেও জানান নাজমুল হক।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুতুবদিয়ায়, সেখানে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঢাকায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে