নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে এসেছেন শত শত পর্যটক। শনিবার (১৯ জুন) হাওরে তাদের ভিড় দেখা যায়।
গত ১১ জুন সারাদেশে করোনার প্রকোপ বাড়ার কারণে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সব পর্যটনকেন্দ্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন। ওইদিন ফিরিয়ে দেয়া হয় পর্যটকদের। সব নৌযানকেও চলাচল না করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন শত শত পর্যটক টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যাচ্ছেন।
শনিবার সরেজমিনে তাহিরপুর উপজেলা ও টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে দেখা যায়, পর্যটকদের জন্য তাহিরপুরের নদীর পাড়ে ছোট-বড় কয়েকশ নৌকার মাঝি অপেক্ষা করছেন। পর্যটকদের দেখামাত্রই তাদের নৌকায় নিতে ছুটে যান তারা। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আছে বলে তারা পর্যটকদের কাছ থেকে আদায় করেন বাড়তি ভাড়া।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক রিয়াদ আহমেদ বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওর এত সুন্দর। সেটি এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না। এটি রূপকথার চেয়েও বেশি সুন্দর।’
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক জীবন চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা থেকে কষ্ট করে এখানে এসে যে সৌন্দর্য উপভোগ করছি ও আনন্দ করছি তা জীবনেও করিনি।’
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক ইউসুফ আল জিন্নাত বলেন, ‘আমরা পাঁচ বন্ধু ঢাকা থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসেছি। তবে এখানে একটি জিনিস খুব বাজে লেগেছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কাজে লাগিয়ে মাঝিরা পর্যটকদের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছেন।’
তাহিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিধিনিষেধ থাকার পরও দৈনিক শত শত পর্যটক হাওরে নৌকা নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন। শুধু মুখেই বিধিনিষেধ রয়েছে, কার্যক্রমে নেই।’
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফাদার বলেন, ‘হাওরে যাতে পর্যটকরা যেতে না পারেন সে ব্যাপারে আমাদের নজরদারি রয়েছে। কিছু পর্যটক ব্শ্বিম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে নৌকা ভাড়া করে যাচ্ছেন বলে খবর পেয়েছি।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘করোনার কারণে তাহিরপুরে সব পর্যটনকেন্দ্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’
এর পরও পর্যটকরা হাওরে যাচ্ছেন জানালে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
নদী বন্দর / সিএফ