নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস দেয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
বুধবার (২৩ জুন) সকালে বসুরহাট বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ফুল দিতে গিয়ে তিনি মাইকে এ ঘোষণা দেন।
কাদের মির্জা বলেন, `কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে আমার এলাকায় (কোম্পানীগঞ্জ) প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস দেয়া হবে। কিন্তু সেই ওয়াদা আজও পূরণ হয়নি। এখন দুর্যোগ (করোনা) চলছে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই আমরা শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস যাওয়া বন্ধ করে দেব।’
এ সময় উপস্থিত তার অনুসারীদের বলেন, ‘আপনারা না পারলেও আমার সঙ্গে থাকবেন। আমি নিজে গিয়ে গ্যাস সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দেব। আমাদেরকে গ্যাস না দিয়ে এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস নিতে দেয়া হবে না।’
এছাড়া কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুরের শাহজাদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ওই গ্যাসক্ষেত্র নামের সঙ্গে ‘সুন্দলপুর’ থাকার প্রতিবাদও করেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘যেদিন সেখানে যাব সেদিন ওই সাইনবোর্ডও ভেঙে গুড়িয়ে দেব।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এই নাম দেয়া এমপি একরামের (নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য) কারসাজি। কারণ সুন্দলপুর ওই এমপির কবিরহাটের নিজ বাড়ির ইউনিয়নের নাম। যা কোম্পানীগঞ্জ থেকে অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূরে আলাদা উপজেলায় অবস্থিত।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘গ্যাসের বিষয়টি আমি এর আগে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে বলেছিলাম। ১৯ মার্চ বিকেলে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জানাজায় তার (তৌফিক-ই-এলাহী) সঙ্গে বসুরহাট কলেজ মাঠে দেখাও হয়েছিল। কিন্তু তিনি কিছুই বলেননি। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’
২০১১ সালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এটির খনন কাজ শুরু হয়ে ২০১১ সালের মার্চে অনুসন্ধান শেষ হয়। পরে ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট (বুধবার) সকালে ওই কূপে গ্যাসের দেখা মেলে। এক হাজার ৪০০ মিটার গভীরে গ্যাসের স্তর নিশ্চিত হয়।
এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) পরিচালনায় ২০১২ সালের ১৭ মার্চ (শনিবার) থেকে দৈনিক সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়।
নদী বন্দর / এমকে