২০১৫ সালে কাজ শুরুর পর প্রথম দফায় লক্ষ্য ছিলো ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল সেতুর কাজ শেষ করা। তবে নির্মাণ কাজ শুরুর পর সেতুর ২২টি পিলারের নিচে নদীর তলদেশে মাটির গঠনগত জটিলতার কারণে সংশোধন করতে হয় নকশা। এ কাজে দেরি হয় প্রায় দেড় বছর । তখন মেয়াদ বাড়িয়ে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস।
পিলার নির্মাণে বিলম্ব, ধীর করে আনে স্প্যান বসানোর গতি। এমনকি স্প্যান বানিয়ে ফেলার পরও নির্ধারিত পিলার তৈরি না হওয়ায় সেটি রাখার জায়গার সঙ্কট দেখা দেয়। এ অবস্থায় নদীতে পিলারের উপর অস্থায়ীভাবে কিংবা চরের কাছে নিয়ে রাখতে হয় স্প্যানগুলো।
২০১৯ সালের শেষদিকে সবগুলো পিলার নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে আসার পর গতি পায় কাজ। কিন্তু তখনো বাকি ২২টি স্প্যান বসানো। এ অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ২০২১ সালের জুন মাস। চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনা আর এপ্রিল মাসে নদীতে দীর্ঘমেয়াদি রেকর্ড পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে আবারও ৪ মাস বন্ধ থাকে কাজ। সঙ্কট দুর হলে গত ১০ ডিসেম্বর সব স্প্যান বসানোর কাজ শেষ করে আনা হলেও বাকি ৬ মাসে সম্ভব নয় সেতুতে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ করা। এ অবস্থায় আরেক দফা বাড়তে যাচ্ছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই সেতুর কাজ ২০২২ সালের প্রথম দিকে শেষ করা চেষ্টা করবো।
কাজ এগিয়ে রাখায় এর মধ্যে ২৩টি স্প্যানে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ করে আনা হয়েছে। ইয়ার্ডে শতভাগ রেল স্ল্যাব নির্মাণ কাজ শেষ। রোড স্ল্যাব বানানো বাকি আছে মাত্র ১৯টি।
নদী বন্দর / পিকে