আপেল শুনলেই চোখের সামনে আমাদের সবুজ বা লাল আপেলের ছবি আসে। সম্প্রতি ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল নামে একটি দুর্লভ জাত পাওয়া গেছে। যেটি মূলত হুয়া নিউ আপেলের বংশভূত।
এটিকে চাইনিজ রেড ডিলিশিয়াসও বলা হয়। ক্রিস্টিনা পারসুয়েড নামে একজন লেখক তার টুইটারে এ সম্পর্কে লিখেছেন, ‘এই জাতটি মূলত তিব্বতে চাষাবাদ হয়।’ চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য-
কেন এই আপেলের রং কালো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আপেলগুলো পাহাড়ের দেশ তিব্বতে জন্মে। তাই সেখানকার ভৌগোলিক আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রভাবে এদের রং একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। তিব্বতের ছোটো শহর নাইংগিছিতে এই আপেলের চাষ হয়, যেখানে দিনের বেলায় প্রচুর সূর্যের আলো পড়ে।
অতিরিক্ত সূর্যের আলোর কারণে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি সরাসরি আপেলের ত্বকে পড়ে। আবার রাতের বেলা হুট করেই সেখানকার তাপমাত্রা নেমে যায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রার এই পার্থক্যের কারণে এই আপেলগুলোর ত্বক গাঢ় কালো হয়। তবে ভিতরটা অন্যান্য আপেলের মতোই সাদা ধবধবে হয়।
এগুলো কি সহজলভ্য? কোথায় পাওয়া যায় এই আপেল?
তিব্বত ছাড়াও এই জাতের কাছাকাছি রকমের আপেল পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রে। যাদেরকে বলা হয় আরকানাস ব্ল্যাক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো অন্যান্য জাতের মতো এতো মিষ্টি নয়। তবে অন্ধকার স্থানে কিছুদিন রেখে দিলে স্বাদ বাড়তে পারে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাজারে সহজে এদের পাওয়া যায় না।
একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ ব্ল্যাক ডায়মন্ড আপেল বার্ষিকভাবে বাজারজাত করা হয় না। অনেক কৃষক এই জাতটি চাষ করতে চান না, কারণ এর ফল আসতে ৫-৮ বছর লেগে যায়। যা কি-না মাত্র দুই মাস স্থায়ী হয়।
এগুলো কি স্বাস্থ্যকর?
এগুলো খেতে অনেক মচমচে ও মিষ্টি। তবে পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করলে এগুলো সাধারণ আপেল থেকে অনেক দূরে। একটি সাধারণ আপেলে থাকে চার গ্রাম ফাইবার এবং এপিক্যাটিচিন নামক ফ্ল্যাভোনয়েড।
যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সেখানে এই কালো আপেলে এ রকম কোনো পুষ্টি গুণাগুণ নেই। এ ছাড়াও এগুলোর মূল্যও অনেক বেশি। একটি আপেল কিনতে ৭-২০ ডলার খরচ হতে পারে!
নদী বন্দর / জিকে