নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়ে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রোববার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানকার বেশিরভাগ যাত্রী ঘরমুখো। সড়কে গাড়ি কম থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে যাত্রীরা গন্তব্যের পথে রওনা হচ্ছেন। কেউবা পিক-আপে করে রওনা হয়েছেন।
এসময় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যাওয়ার জন্য নাদিয়া আক্তার নামে একজন দেড়ঘণ্টা যাবৎ সাইনবোর্ড মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি জানান, মোটরসাইকেলে দাউদকান্দি ৩০০ টাকা ভাড়া চায়। আর মাইক্রোতে ভাড়া চায় ৪৫০ টাকা।
যাত্রাবাড়ী বাস কাউন্টারের সামনে রবিউল ইসলামের চায়ের দোকান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার গৌরীপুর। সোমবার (২৮ জুন) থেকে গণপরিবহন বন্ধ হতে পারে, সে আশঙ্কায় আজই গ্রামে ফিরছেন রবিউল। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন না চললে আমার দোকানে ক্রেতা থাকে না। এজন্য গ্রামের বাড়ি যাবো। কিন্তু যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড এসে দেখি গাড়ি খুব কম।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাসিন্দা রুবেল হোসেন। চারদিন আগে শনিরআখড়ায় বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছেন। আজ বাড়ি ফিরছেন। রুবেল বলেন, ‘দুই ঘণ্টা সাইনবোর্ডে অপেক্ষা করেও কোনোভাবে রওনা হতে পারিনি। বাইক চালকরা বেশি ভাড়া চান।’
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা আসায় যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২২ জুন থেকে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
নদী বন্দর / সিএফ