একটি মাত্র জেটিতেই প্রায় একই সময় নোঙর করছে পাঁচ থেকে সাতটি জাহাজ। আবার কয়েক হাজার পর্যটক একই সময়ে জেটিতে থাকায় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের ঢলনামা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রবেশের বাস্তবতা এমনই নির্মম। নানা আশ্বাস পেলেও কোন সুরাহা না পেয়ে অসহায়ত্বের কথাই বলছে স্থানীয় প্রশাসন।
ভাটায় জেগে ওঠা নান্দনিক প্রবাল প্রাচীর, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলা গাঙচিল, পশ্চিম বিচ থেকে দেখা সূর্যাস্তের অপরূপ সৌন্দর্য, সৈকতে বসে নরম কোমল স্নিগ্ধ বাতাসে গা জুড়িয়ে নেয়া, অগভীর সাগরের স্বচ্ছ নীল জলে দল বেঁধে বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠার লোভে সাগর পাড়ি দিয়ে ছুটে আসেন মানুষ স্বপ্নের দারুচিনি দ্বীপে।
এখানে প্রকৃতির সাথে মানুষের মিশে থাকার এক নান্দনিক আবহ তৈরি হয়। অথচ প্রকৃতি প্রেমীদের সাথে তার প্রথম দর্শন রীতিমতো আতঙ্কের।
এক পর্যটক বলেন, লঞ্চ থেকে নামার পরই কেউ পিছলে পড়ে যেতে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জেটি থেকে তীরে যেতে যতটা পথ পাড়ি দিতে হয় সেটিও বন্ধুর। পিলারগুলো ভেঙ্গে গেছে অনেকখানে। দু পাশের রেলিংও উধাও বহু আগে। আবার এখানেই ভিড়ছে মালবাহী ট্রলার। সব মিলিয়ে শুধু কি পর্যটক? জেটি বিড়ম্বনায় হাঁপিয়ে উঠেছেন স্থানীয়রাও।
উপজেলা পরিষদ বলছে, এ পর্যন্ত বহু প্রতিশ্রুতি পেলেও সমাধানের বন্দরে পৌঁছানো হয়নি এখনো।
এ বিষয়ে সেন্ট মার্টিন প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছি। এই দ্বীপবাসীর পক্ষ থেকে আমরা আকুল আবেদন জানাচ্ছি, যে এই জেটি ঘাটটি মেরামত করার ব্যবস্থা করুন।
সংস্কার নয়, নতুন জেটি নির্মাণেই সম্ভব এই সমস্যার সমাধান বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
নদী বন্দর / এমকে