ফরিদপুরে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে নদ-নদীর পানি। এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে জেলার পাঁচটি উপজেলার কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে নদীর ভাঙন। এতে আতঙ্কে রয়েছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। অনেকেই ঘরবাড়ি ও স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বেড়েছে পয়েন্ট ২৭ সেন্টিমিটার। বর্তমানে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৭ দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বাবু বলেন, ‘ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে নদীতে পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের জন্মস্থান ও তার স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার রাস্তাসহ চরগয়েশপুর এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি আরও বাড়লে ভাঙনও বাড়বে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইউনিয়নের মধুমতী নদী সংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। মানুষের মাঝে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিদিনই ফরিদপুরের পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়ালখাঁর পানি বাড়ছে। তবে এখনো তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে পাঁচটি উপজেলার কয়েকটি স্থানে নদী পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রাথমিক প্রটেকশনের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ভাঙন দেখা দেবে এটা স্বাভাবিক। তবে আমরা খোঁজখবর রাখছি। কোথাও জরুরি কিছু করার প্রয়োজন হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দিয়ে সেটি করা হবে। তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
নদী বন্দর / এমকে