আষাঢ়ের মাঝামাঝি এসে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির প্রবণতা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরণের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রাও অনেকটা কমে গেছে। বুধবার (৩০ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকার আকাশে মেঘ থাকলেও দেখা মেলেনি বৃষ্টির।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।’
এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান আব্দুর রহমান। আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জ ও কক্সবাজারে। এ দুটি স্থানে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বরিশালে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর একদিন আগে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তঅয় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
নদী বন্দর / জিকে