1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বেনাপোল বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড পরিবর্তনে বাণিজ্য ব্যাহতের শঙ্কা - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৭০ বার পঠিত

যশোরের বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্য খালাসের কার্যক্রম ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ টিটিবিআই মাঠে নেওয়ার পরিকল্পনায় বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা। দ্রুত সমাধান না আসলে বাণিজ্য ব্যাহতের শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেনাপোল স্থলবন্দরকে একটি চিঠি দিয়ে কাঁচামাল খালাসের কার্যক্রম বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে টিটিবিআই মাঠে করার নির্দেশ দেন। 

জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরের যে পণ্য আমদানি হয় তার বড় একটি অংশ খাদ্যদ্রব্য জাতীয় বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল। যা থেকে প্রতিদিন সরকারের প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আসে। কাঁচামাল খালাসের জন্য বন্দরের ৩১ নাম্বার ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড রয়েছে। যেখানে ঝড়, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পণ্য খালাস করতে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য টিনের ছাউনি দিয়ে শেড নির্মাণ এবং শ্রমিকদের বিশ্রামের স্থান রয়েছে। রয়েছে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস। কিন্তু হঠাৎ করে কাস্টমস হাউজ সিদ্ধান্ত নেয় ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে আমদানিকৃত মোটরসাইকেল রাখা হবে। আর টিটিবিআই নামে খোলা আকাশের ইয়ার্ডে কাঁচামাল খালাস করা হবে। কাস্টমস এ নিয়ে বন্দরকে চিঠিও দেয়।

তবে কাস্টমসের এমন হঠকারীতামূলক সিদ্ধান্তে বাঁধ সাধে বন্দর কর্মকর্তারা। বন্দরের ব্যবসায়ী মহল আর শ্রমিকরাও কাস্টমসের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কাঁচামালের মাঠে মোটরসাইকেল নামানোর কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে কাস্টমস আর বন্দরের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়। কাস্টমস চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আর বন্দর আইন ও যুক্তি দেখিয়ে করছেন এর বিরোধিতা। 

কাঁচামাল আমদানিকারক কামাল হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল আমদানিকারকরা যেমন সরকারকে রাজস্ব দেয় তেমনি কাঁচামাল আমদানিকারকরাও রাজস্ব দিচ্ছে। কাউকে সুবিধা দিতে গিয়ে অপরকে ক্ষতিগ্রস্ত করা ঠিক নয়। আগে কাঁচামাল খালাসের জন্য টিটিবিআই মাঠে পরিবেশ তৈরি করুক তাহলে আমাদেরও সেখানে পণ্য খালাসে সমস্যা নেই।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান জানান, বন্দরের এক একটি ইয়ার্ড পণ্য খালাসের সুবিধায় এক একরকম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন না করে হঠাৎ এক জায়গার নামানোর পণ্য আর এক জায়গায় খালাস করা হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিষয়টি দুই পক্ষের বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বেনাপোল বন্দরের পণ্য খালাসকারী হ্যান্ডলিংক শ্রমিক সংগঠনের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান জানান, রাতভর বন্দরে এ মাঠে শ্রমিকরা কাঁচামাল খালাস করেন। এখানে তাদের বিভিন্ন সুবিধা আছে। খোলা মাঠে পণ্য খালাসের কাজ তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, কাঁচামাল খালাসের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড তৈরি করা। অবকাঠামোহীন খোলা মাঠে কীভাবে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য খালাস হবে? এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ে এ বন্দর ছাড়বেন। এছাড়া বন্দরের আইন লঙ্ঘন হবে। এক্ষেত্রে পণ্য খালাসের সুবিধার্থে বন্দরে নতুন ওয়্যারহাউজ নির্মাণ আর অবকাঠামো বাড়ানো যেতে পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, বৃহত্তর বাণিজ্যের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাঁচামালের চেয়ে মোটরসাইকেলে সরকারের অনেক বেশি রাজস্ব আসবে।

নদী বন্দর / পিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com