ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার সদর, কাজিপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।
সোমবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের (হাট পয়েন্টে) ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বীজতলা, সবজিবাগান, পাট ও তিলক্ষেত।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে যমুনা নদীর পানি কিছু কমলেও রোববার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েক দিন এ পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও বন্যার পরিস্থিতি অবনতি হয়নি। বন্যার জন্য আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। বর্তমানে দুই টন চাল ও নগদ সাড়ে সাত লাখ টাকা মজুত রয়েছে।
নদী বন্দর / বিএফ