প্রতিমাসে এক কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এমন তালে চলতে থাকলে নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বিজয় দিবসেই চলবে মেট্রোরেল। এরই মধ্যে ৫৩ ভাগের বেশি কাজ সার্বিকভাবে শেষ হয়েছে।
কাজ নির্বিঘ্ন রাখতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ভ্যাক্সিনের আওতায় আনার কথাও জানিয়েছেন (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
লক্ষ্য ছুঁতে হবে, তাই দিন রাত চলছে মোট্রোরেলের কাজ। উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে আগারগাঁও-ফার্মগেইট-মতিঝিল এলাকায় দৃশ্যমান প্রকল্পের অগ্রগতি। এরই মধ্যে প্রথম তিনটি স্টেশনে বসেছে রেলের স্লিপার। ভায়াডাক্ট ফার্মগেইট-কারওয়ানবাজার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পৌঁছেছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৩ দশমিক পাঁচ আট শতাংশ।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৭৮ শতাংশ আর আগারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ৪৮ শতাংশ। আর তৃতীয় পর্যায়ে কাজ শেষ হয়েছে ৪২ শতাংশ।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আমাদের পরিপূর্ণ ভায়াডাক্ট মধ্যে ১৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্যাকেজ একের আওতায় প্রকল্প এলাকায় ভূমি উন্নয়নের কাজ শতভাগ শেষ। প্যাকেজ দুই এর কাজ ৭৫ ভাগের বেশি শেষ। তিন ও চারের কাজ শেষ হয়েছে ৭৫ ভাগ। পঞ্চম প্যাকেজ ৫২ শতাংশ। ৬ষ্ঠ সমাপ্ত ও অষ্টম প্যাকেজের কাজ যথাক্রমে শেষ হয়েছ ৫৩, ৫২ ও ৩৩ শতাংশ। প্রতিমাসে ভায়াডাক্টের অগ্রগতি এক কিলোমিটার। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই গতিতে কাজ চললে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
এম এ এন ছিদ্দিক আরো বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। আমাদের স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই কাজ করছি।
সে লক্ষ্যে এপ্রিলে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
নদী বন্দর / এমকে