আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের খ্যাতনামা অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক পিটার আর দে ভ্রাইস। একটি টিভি চ্যানেলের টক শো শেষে বাসায় ফেরার পথে তার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। প্রকাশ্য দিবালোকে পিটারের কপাল বরাবর পাঁচবার গুলি করা হয়। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নেদারল্যান্ডসে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীও শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন।
৬৪ বছর বয়সী পিটার সাংবাদিক মহলে কালো ঘোড়া হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ভয়ডর বলে কিছু তার মধ্যে ছিল না। দীর্ঘ কর্মজীবনে অসংখ্যবার অপরাধবিষয়ক সাহসী প্রতিবেদন করেছেন। যার জন্য প্রাণের হুমকিও পেয়েছেন বহুবার। কিন্তু বিষয়টিকে কখনোই বিশেষ গুরুত্ব দেননি পিটার।
মঙ্গলবার রাজধানী শহর আমস্টারডামের সিটি সেন্টারের কাছে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভে যোগ দিতে গিয়েছিলেন পিটার আর দে ভ্রাইস। প্রায় প্রতিদিনই ওই শোতে অংশ দিতেন তিনি। সেখান থেকে বের হতেই তার ওপর হামলা চালানো হয়।
অপরাধবিষয়ক সাংবাদিক হিসেবে যথেষ্ট নামডাক পিটারের। ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা একটি ক্রাইম শো পরিচালনা করেছেন। ওই শো-ই তাকে খ্যাতির শিখরে নিয়ে গেছিল। এছাড়া ১৯৮৩ সালে ফ্রেডি হেইনিকেনের অপহরণের কাহিনিও তিনি প্রথম তুলে ধরেন, যা নিয়ে পরবর্তীতে বই প্রকাশিত হয়েছে, তৈরি হয়েছে সিনেমা। ২০০৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল এমি সম্মাননা পান পিটার।
খ্যাতনামা এ সাংবাদিকের মৃত্যুর খবরে গভীর শোক জানিয়েছেন দেশটির বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এটি খুবই দুঃখজনক খবর। দেশের জন্য অন্ধকার দিন। এর মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর কালো রঙ ছিটিয়ে দেয়া হলো। দেশটির অন্য মন্ত্রীরাও পিটারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।
নেদারল্যান্ডস পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পিটারের খুনিও রয়েছে। কিন্তু কারো নাম প্রকাশ করা হয়নি। হত্যার কারণও জানায়নি পুলিশ।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
নদী বন্দর / জিকে