হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়িজ হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন মূলহোতা একজন হাইতিয়ান চিকিৎসক। ক্রিশ্চিয়ান এমান্যুয়েল স্যানন নামে ওই ব্যক্তি গত জুনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ নিয়ে একটি ব্যক্তিগত জেটপ্লেনে করে হাইতি প্রবেশ করেছিলেন। তারই যোগসাজশে গত সপ্তাহে গুলি করে হত্যা করা হয় হাইতিয়ান প্রেসিডেন্টকে। ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩ বছর বয়সী ওই ‘মাস্টারমাইন্ড’কে। রোববার রাতে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে হাইতির পুলিশ।
গত ৭ জুলাই নিজবাড়িতে হত্যার শিকার হন প্রেসিডেন্ট ময়িজ। দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন তার স্ত্রী মার্টিন ময়িজও। আর এ হত্যা মিশনে অংশ নেয় ২৮ জন বিদেশি ঘাতক।
আহত ফার্স্টলেডিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার ভাষ্যমতে, হামলাকারীরা ঘরে ঢুকেই ময়িজকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয়, এসময় তাকে একটি কথা বলারও সুযোগ দেয়া হয়নি।
মিশন বদলে যায়
রোববার রাতে হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ্য-প্রিন্সে এমান্যুয়েল স্যাননকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পুলিশ।
হাইতির পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস বলেছেন, এই ব্যক্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রাইভেট প্লেনে করে হাইতি ঢুকেছিল। তার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল প্রেসিডেন্ট ময়িজকে গ্রেফতার করা। কিন্তু মিশন পরে বদলে দেয়া হয়।
চার্লস বলেন, ঘটনা ঘটার পর আমরা যখন দুর্বৃত্তদের পথ আটকে দেই, তাদের মধ্যে এক হত্যাকারী প্রথমেই যে ব্যক্তিকে ফোন করেছিল, সে হলো ক্রিশ্চিয়ান এমান্যুয়েল স্যানন। ওই লোক আরও দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আমরা ধারণা করছি, প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডে তারাও অন্যতম মূলহোতা।
তবে ওই দুই সন্দেহভাজন কারা তা প্রকাশ করেনি হাইতির পুলিশ প্রধান।
সূত্র: বিবিসি
নদী বন্দর / এমকে