আসামে ১৪ বছরের বেশি বয়সী গরু জবাইয়ে এতদিন কোনো বাধা ছিল না। তবে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মনে হয়েছে, সাত দশকের পুরোনো এই আইন তাদের গরু রক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়। এ কারণে নতুন বিল নিয়ে এসেছেন তিনি। এতে বলা হচ্ছে, হিন্দু এলাকা এবং কোনো মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর মাংস বিক্রি করা যাবে না। খবর ডয়েচে ভেলের।
ভারতের অনেক রাজ্যেই গো-হত্যা বন্ধের আইন রয়েছে। তবে গো-মাংস কোথাও বিক্রি করা যাবে কি না, তা নিয়ে আইন হচ্ছে এই প্রথমবার। গত সোমবার আসাম গো-রক্ষা বিল-২০২১ বিধানসভায় উপস্থাপন করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এতে বলা হয়েছে, যেসব জায়গায় হিন্দু, শিখ ও জৈনরা থাকেন সেখানে এবং মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গো-মাংস কেনাবেচা করা যাবে না।
বিলে আরও বলা হয়েছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অন্য রাজ্য থেকে আসামে গরু আনা বা আসাম থেকে অন্যত্র গরু নিয়ে যাওয়া যাবে না।
আসামে ১৯৫০ সালের আইনে বলা হয়েছিল, ১৪ বছরের বেশি বয়সী গরু, যা কাজ করতে অক্ষম, তাদের জবাই করা যাবে। তবে এর জন্য স্থানীয় পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে সনদ নিতে হবে। নতুন বিলে বলা হয়েছে, মহিষ জবাইয়ের ক্ষেত্রেও এ ধরনের সনদ দরকার হবে।
হিমন্তের নতুন এই বিলের বিরোধিতা করেছেন অনেকে। আসাম বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা দেবব্রত সাইকিয়া বলেছেন, পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে। এই পাঁচ কিলোমিটার কীসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে? যেখানে ইচ্ছা পাথর ফেলে মন্দির বানিয়ে ফেলা যায়। এই বিলের ফলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়বে।
এআইউইউডিএফ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেছেন, মুসলিমদের মনে আঘাত করার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্য বিভাজন তৈরি করা।
তবে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত এসব সমালোচনায় খুব একটা কান দিচ্ছেন না। তিনি গরু রক্ষার বিল পাস করতে বদ্ধপরিকর।
নদী বন্দর / এমকে