ঈদের আগের দিন পাটুরিয়া ঘাটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী আর বৃষ্টির কারণে এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি মিলে কয়েকশ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরও বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। কাটা লাইনে আসা যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে ঘাটের মিনি ট্রাক টার্মিনালে। এরপর লাইন ধরে পায়ে হেঁটে অথবা রিকশা ভ্যানে চেপে ঘাটে পৌঁছাছে যাত্রীরা। কোনো ফেরি বা লঞ্চ লোড হলেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় দীর্ঘ সারিতে দূরপাল্লার বাস ও ছোট গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে। মাঝে মধ্যে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ২-৩ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে পুলিশি তৎপরতায় যানবাহনগুলো শৃঙ্খলভাবেই ফেরিতে ওঠছে। বাস ও ছোট গাড়ির যাত্রীদের ফেরি পার হতে ঘাটে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
সকাল ৮টার দিকে ঘাট এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন নারী, শিশুসহ হাজারও মানুষ। অনেকে বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজেই লঞ্চ ও ফেরিতে ওঠেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান জানান, ভোর থেকেই পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। ছোট বড় ১৬ ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার চলছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীদের বড় ধরনের ভোগান্তি নেই। তবে দুপুরের পর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নদী বন্দর / পিকে