কঠোর বিধিনিষেধে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে চলছে যাত্রী-যানবাহন পারাপার।
রোববার (২৫ জুলাই) সকাল হতে প্রতিটি ফেরিতেই শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাবাজার ঘাট থেকে শতশত ঢাকামুখী যাত্রী শিমুলিয়াঘাটে আসছেন। আবার
শিমুলিয়া হয়ে বাংলাবাজার যাচ্ছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা। তবে ফেরিতে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের চাইতে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি। এতে ফেরিতে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে লকডাউন বাস্তবায়ন ও ফেরিতে যাত্রী চলাচল নিয়ন্ত্রণে ঘাটের অভিমুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে সেটি অতিক্রম করতে যাত্রীরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। অন্যদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা ঢাকামুখী যাত্রীরা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন পায়ে হেটে।
ঘাটে অবস্থান করা বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, প্রয়োজনের তাগিদেই ভোগান্তি আর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফেরিতে চলাচল করছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ছয়টি ফেরি সচল রয়েছে। জরুরি ও লকডাউনের আওতার বাইরের যানবাহন পারাপারে এসব ফেরি সচল রাখা হয়েছে। ঘাটে অপেক্ষায় কোনো গাড়ি নেই। তবে যেসব যাত্রী ঘাটে আসছে তারা ফেরি যোগে পদ্মা পারি দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঘাটে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ বলেন, ‘ঘাটে যাত্রীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাউকে ঘাটে কিংবা ঢাকার অভিমুখে যেতে দেয়া হচ্ছে না।’
নদী বন্দর / এমকে